গ্রিস – সভ্যতার সূতিকাগার এবং ইউরোপের অন্যতম পর্যটন ও শিক্ষানগরী। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রিস বর্তমানে বিশ্বের অসংখ্য শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। গ্রিসের শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, ইউরোপ ও আমেরিকায় স্বীকৃত এবং ছাত্রবান্ধব হওয়ায় এখানকার ডিগ্রি অর্জন করে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করা অনেক সহজ।

 

📌 ভূমিকা: গ্রিসে উচ্চশিক্ষা কেন?

গ্রিস – সভ্যতার সূতিকাগার এবং ইউরোপের অন্যতম পর্যটন ও শিক্ষানগরী। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রিস বর্তমানে বিশ্বের অসংখ্য শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, ইউরোপ ও আমেরিকায় স্বীকৃত এবং ছাত্রবান্ধব।

🎓 ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা ও ভর্তি প্রক্রিয়া

গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ কোর্সই ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত হয়। IELTS বা TOEFL বাধ্যতামূলক নয়—অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারনাল টেস্ট বা অনলাইন ইন্টারভিউ গ্রহণ করে। SSC ও HSC পাশ করে ব্যাচেলরে এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকলে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায়।

💰 খরচ ও জীবনযাত্রা

গ্রিসে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। বার্ষিক টিউশন ফি সাধারণত €৬,০০০ থেকে €১০,০০০-এর মধ্যে। আবাসন ও অন্যান্য খরচ মিলে এক শিক্ষার্থীর মাসিক ব্যয় গড়ে €৫০০–€৭০০। হোস্টেল, খাবার, ইন্টারনেট, পরিবহন সবকিছুই শিক্ষার্থীবান্ধব মূল্যে পাওয়া যায়।

💼 পার্ট–টাইম চাকরি ও আয়

গ্রিস সরকার বৈধভাবে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজের অনুমতি দেয়। ছুটির সময়ে ফুল-টাইম কাজের সুযোগও থাকে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত রেস্টুরেন্ট, সুপারমার্কেট, কাস্টমার সার্ভিস ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করে মাসে €৪০০–€৬০০ পর্যন্ত আয় করতে পারে।

🎓 পড়াশোনা শেষে কাজ ও PR

ডিগ্রি শেষ করে শিক্ষার্থীরা Post-Study Work Permit-এর মাধ্যমে গ্রিসে বৈধভাবে চাকরি করতে পারে। নির্দিষ্ট সময় কাজ করে EU নিয়ম অনুযায়ী রেসিডেন্স পারমিট (PR) ও পরবর্তীতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। ৫ বছর বৈধভাবে বসবাস করলে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার যোগ্যতা পাওয়া যায়।

👨‍👩‍👧‍👦 পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ

শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার নির্দিষ্ট সময় পরে তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় সঙ্গে আনতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা বসবাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। এটি পরিবারবান্ধব অভিবাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

🔁 ক্রেডিট ট্রান্সফার ও আন্তর্জাতিক সুযোগ

গ্রিসে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপিয়ান ক্রেডিট ট্রান্সফার সিস্টেম (ECTS) অনুসরণ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার এক বা দুই বছর পর UK, Canada, Australia বা অন্য EU দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বাকি কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন।

🎓 ছাত্রজীবন ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ

গ্রিসের ছাত্রজীবন বৈচিত্র্যময় ও আন্তর্জাতিক। বিশ্বের নানা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসে। সংস্কৃতির মেলবন্ধন, নিরাপদ ক্যাম্পাস, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ—সব মিলে এটি হয়ে ওঠে একটি জীবন গঠনের আদর্শ জায়গা।

সারসংক্ষেপ: কেন গ্রিসে উচ্চশিক্ষা নেবেন?

গ্রিস এখন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী, নিরাপদ ও ভবিষ্যৎনির্ভর ইউরোপিয়ান গন্তব্য। কম খরচে আন্তর্জাতিক ডিগ্রি, বৈধ পার্ট-টাইম চাকরি, পরিবার নিয়ে যাওয়ার আইনগত সুবিধা, PR ও নাগরিকত্ব পাওয়ার বাস্তব সুযোগ—সব কিছু মিলিয়ে এটি হতে পারে আপনার স্বপ্নপূরণের দেশ।